মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৪০ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক :— দেশের পযটন নগরী কক্সবাজারের দক্ষিণ কলাতলীর বাসিন্ধা মহিয়শী নারী খোরশেদ আরা হক। চল্লিশ দশকে (১৯৪০ সালের ১০ মে) এই নগরীর সম্ভ্রন্ত মুলসিম পরিবারে তার জন্ম। নারী হয়েও দেশের প্রয়োজনের ১৯৭১ সালে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে অস্ত্র হাতে তুলে নেন। অংশ নেন স্বাধীনতা যুদ্ধে। এরমধ্যে নিজেকে গড়ে তুলেছেন উচ্চ শিক্ষিত হিসেবে। শুধু তাই নয় মানব কল্যানে বিভিন্ন সময় সাধারন মানুষের পাশে দাড়িয়েছেন। পরবর্তীতে এলাকার উন্নয়নে ও জনগনের প্রত্যাশা পুরনে রাজনীতিতে যুক্ত হন। বিভিন্ন সময় আন্দোলন সংগ্রামে সক্রিয় ভাবে অংশ গ্রহন ছিলো চোখে পড়ার মতো। পরবর্তীতে জাতীয় পার্টিতে যোগ দেন তিনি। ২০১৪ জাতীয় নির্বাচনে আলহাজ্ব খোরশেদ আরা হক কক্সবাজার-৫০ আসনের সংরক্ষিত মহিলার আসনের সাংসদ নির্বাচিত হন। এছাড়া জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য হন। খোরশেদ আরা হক বাংলাদেশ জাতীয় সংসদে মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত আসন থেকে প্রতিদ্বদন্দীতা করেন। তার প্রতিদ্বন্দী আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাবিহা নাহার বেগমের প্রার্থীতা বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন বাতিল করে দেয়, কারণ তার টেলিফোন বিল বাকি ছিলো। তার বকেয়া বিল ছিলো ২ লক্ষ ২৩ হাজার ৪৮৮ টাকা।
বিভিন্ন সময় তিনি নারী অধিকার আদায়ের আন্দোলনে বাংলাদেশে একজন উল্লেখযোগ্য নারী অধিকার কর্মী। এছাড়া তার সংসদীয় আসনে রাস্তা-ঘাট, স্কুল-কলেজসহ জনসাধারনের জন্য নানা উন্নয়ন মুলক কাজ করেছেন। পাশাপাশি ককক্সবাজারকে পযটন নগরী হিসেব আরো সুন্দর ভাবে তৈরি করতে ও বিশ্ব দরবারের তুলে ধরতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। জাতীয় সংসদে তিনি অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতের ১৫% মুসক নীতির সমালোচনা করেন। কক্সবাজারে রোহিঙ্গাদের ত্রান বিতরণে একটি সরকারি প্রতিনিধিদলের প্রতিনিধি ছিলেন তিনি। তার তিন ছেলে ও পাঁচ মেয়ে।দুই মেয়ে মারা গেছে।স্বামীর নাম মৃত শামসুল হক এডভোকেট। বর্তমানে আলহাজ্ব খোরশেদ আরা হক কক্সবাজার জেলা মহিলা জাতীয় পার্টির সভাপতি।
তিনি বলেন, এ দেশের উন্নয়নে জাতীয় পার্টির যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে। যা মানুষ কখনো ভুলতে পারবে না। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রসংশা করে দলাদলি বাদ দিয়ে সবাইকে এক সাথে কাজ করতে আহবান করেন। জনগনের উন্নয়নের জন্য আমি কাজ করতে চাই। আমার এলাকার জনগন যাতে আর পিছিয়ে না থাকে সেই লক্ষে আমি কাজ করতে চাই।এ ছাড়া তিনি তার এলাকার অনেক মসজিদ ও মাদ্রাসার উন্নয়নের জন্য অকাতরে পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।অসহয় ও দরিদ্র মানুষের পাশে থেকে তাদের সেবা করে যাচ্ছেন। এই বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি একজন মুক্তি যোদ্ধা, লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে আমাদের স্বাধীনতা। মহান মুক্তিযুদ্ধে আমি অংশ গ্রহন করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে হয়। তিনি বলেন আমি মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানি। আমার এলাকার সকল মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে নিয়ে আমি কাজ করতে চাই। তিনি আরো বলেন জনগন আমার সাথে আছে এবং সামনের দিন গুলোতেও থাকবে। আইনশৃংঙ্খলার বিষয়ে তিনি বলেন আমার এলাকায় জনগন খুব সহজে আইনি সহায়তা পেয়ে থাকেন। এই অঞ্চলের আইনশৃংখোলা পরিস্থিতি খুব ভালো রয়েছে। তিনি বলেন আমার এলাকার জনসাধারন যাতে করে সরকারী সকল সুবিধা পায়, সেই লক্ষে আমি কাজ করে যাচ্ছি।যাদের ছেলে মেয়ে অর্থের অভাবে লেখা পড়া করতে পারছে না, আমি তাদের পাশে দাড়িয়ে সহয়তা করে যাচ্ছি। অর্থের অভাবে যাতে আমার এলাকার কোন মেধাবী যাতে অকালে ঝড়ে না যা, সেই লক্ষ্যে আমি ব্যক্তিগত ভাবে তাদের পাশে দাড়িয়েছি।বাল্য বিবাহ একটি ভয়ানক অপরাধ, আমার এলাকার কোন মেয়ের জিবন বাল্য বিবাহের কারনে যাতে অকালে শেষ হয়ে না যায়। সে লক্ষ্যে সবাই কাজ করার আহবান জানান।
আমরা জনতার সাথে......“আজকের দিগন্ত ডট কম”
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত “আজকের দিগন্ত ডট কম”। অনলাইন নিউজ পোর্টালটি বাংলাদেশ তথ্য মন্ত্রনালয়ে জাতীয় নিবন্ধন প্রক্রিয়াধীন।
Leave a Reply